muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

আমু : বঙ্গবন্ধুর খুনের মাধ্যমে শুরু, জেল হত্যা দিয়ে শেষ

বঙ্গবন্ধুর খুনের মাধ্যমে শুরু হওয়া ষড়যন্ত্র জেল হাজতে থাকা জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে শেষ হয় বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমুর হোসেন আমু। আর সেই ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ শিকার হিসেবে এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ‘জেল হত্যা দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব মন্তব্য করেন আমির হোসেন আমু। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ১৯৭৫ সালে নিহত চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বন্দী করা হয় জাতীয় চার নেতা সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেপ মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আ হ ম কামারুজ্জামানকে। এরপর সেবছরের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায়ই হত্যা করা হয় তাদের। শহীদদের পরিবার এবং আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দিবসটিকে জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় শিল্পমন্ত্রী আমু আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। এখন তাদের লক্ষ্য বন্ধবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তবে আমরা তা সফল হতে দিবো না”।

সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা এবং ২১শে আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা। সেই হত্যাকারীরা দেশে বিভক্তি চায়। তাদের পক্ষপাতকে মেনে নিলে দেশের মূল সত্ত্বাকে অস্বীকার করা হয়”।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন। সে সময় তাদের জন্য তো তেমন সুযোগ সুবিধা ছিলো না। তবুও দেশকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তাঁর ডাকে তাঁর সাথে কাজ করে গেছেন”।

মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, “আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি মনসুর আলীর ছেলে। মোশতাকের মতো বেঈমানের ছেলে না। সেই বাবাই ছিলো আমার সবথেকে বড় সম্পদ। তাঁকে আমি হারিয়েছি”।

এসময় আসন্ন নির্বাচন এবং ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, “এই কামাল হোসেনকে বঙ্গবন্ধু কামাল হোসেন বানিয়েছেন। নির্বাচিত করিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। সেই কামাল হোসেন এখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষে কথা বলছেন। তবুও তাকে সম্মান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য ডেকেছেন। এই আলোচনার ফয়দা নিতে না পারলে এটা তাদের দোষ”।

তবে সংলাপে সবকিছু সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সংলাপে আর যাই হোক সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আলোচনা হবে, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে”।

Tags: