muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জ নতুন জেলা কারাগার ও সদরসহ ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কিশোরগঞ্জ নতুন জেলা কারাগারসহ ৬টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা কারাগারসহ কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, তাড়াইল, বাজিতপুর, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন তিনি।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ৪৬টি জেলায় ৬২টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ১০টি আ লিক পাসপোর্ট অফিস, ৪টি কারাগার, ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৯৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিবির বিচিত্র বড়–য়া প্রমুখ কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত হন। এছাড়াও শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব উপজেলা থেকে গণভবনে যুক্ত হন।

এসময় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে জেলা সদরের পশ্চিমে মারিয়া ইউনিয়নে ২৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় নতুন এ কারাগারের জন্য। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে এ কারাগার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারাগারটি ১৫শ’ কয়েদির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন।

এদিকে কিশোরগঞ্জ সদরের শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে সদরের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন করেন তিনি। কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ২০৯টি গ্রামে ১৬১ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইনে ৪০০৩৬টি বিদ্যুৎ মিটার, হোসেনপুর ১১০ গ্রামে ১২১.২৯ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইন ৩৫১৪৩টি বিদ্যুৎ সংযোগ, তাড়াইল ১০৮টি গ্রামে ১৪১.৮৬ কি.মি ৩২৭১৮টি বিদ্যুৎ সংযোগ, মিঠাইমনে ১৪১টি গ্রামে ২২২.৯২ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইন ১৯৩৮৭টি সংযোগ এবং ইটনায় ১১৭টি গ্রামে ৪০১.৯৪ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইন, ২৩১৭৪টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব উপজেলায় ৫৬৫.৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও বাজিতপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড, মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহদী হাসান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক সারওয়ার ইকবাল, কিশোরগঞ্জ পল্লী সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মনিরউদ্দিন মজুমদার, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অসীত কুমার ভৌমিকসহ জনপ্রতিনিধি, ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

Tags: