জেলাসহ ৩ দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের জনগণ। শুক্রবার (২রা নভেম্বর) ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন, ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও বাইপাস রেললাইন বন্ধের দাবিতে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে তারা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন।
এতে ভৈরব নাগরিক সমাজ কমিটির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান, সদস্য রাসেল আহমেদ, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুন, চেম্বার পরিচালক জাহিদুল হক জাবেদ, ভৈরব টিভি সমিতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ভৈরব শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, ভৈরব রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ভৈরবী, সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন ও ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের শেষ ইচ্ছা ভৈরব জেলা বাস্তবায়নসহ ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ রুটে ভৈরবের উপর দিয়ে বাইপাস বন্ধ এবং ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে জয়ন্তিকা ও উপকূল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতাল পালনের ঘোষণাসহ পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবার হুশিয়াড়িও দেন বক্তারা।
সমাবেশে বক্তারা বাইপাস নিয়ে বলেন, বাইপাস হলে সরকারের প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এতে জেলার তিনটি উপজেলার কিছু যাত্রী সুবিধা ভোগ করলেও ভৈরবের হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়বে। জীবন যাবে ভৈরবের উপর দিয়ে কিশোরগঞ্জের রেলপথে বাইপাস দিব না।
ভৈরব জেলা প্রাণের দাবি উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান জীবিত থাকতে ভৈরবকে জেলা করার জন্য একটি গেজেটও প্রকাশিত হয়েছিল। বাইপাস নয় গেজেট অনুযায়ী দ্রুত জেলা করার দাবি জানাই।