এদিকে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ না পেছানো, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন এবং অকারণে নির্বাচন বিলম্ব না করাসহ নির্বাচন কমিশনকে মোট ৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট নেতারা।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় বলা ছিল, দুর্নীতি পরায়ণ বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি দলের কোনো নির্বাহী পদে থাকতে পারবে না। মূলত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের সাজার কথা মাথায় রেখেই গঠনতন্ত্রের এ ধারাটি বিলুপ্ত করে দলটি।
গত ৩১ অক্টোবর একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত এই গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশনা এক সপ্তাহ ধরে পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত, গ্রহণ করা হবে না সংশোধিত গঠনতন্ত্র।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আদালতের আদেশ তো মানতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মানার বাধ্য-বাধকতা তো আমাদের আছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তফসিল পেছানোর দাবি নাকচ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘তফসিল পেছানোর কোন উপায় নেই। আমরা পেছাবো না। সব রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশে যারা আছে তাদের সবাই যদি মত দেয় যে পেছাতে হবে সেটা এবং সংবিধানের বাধ্যবাধকতা যেটা আছে সেটার বাইরে তো যাওয়ার সুযোগ নাই।’
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিপরীত দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। কোন ক্রমেই তফসিল না পেছাতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানান বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা।