ভার্টিগো হলো এক ধরনের মাথা ঘোরা অনুভূতি। যেখানে আপনার মনে হবে যে আপনার চারপাশের সবকিছু ঘুরছে অথবা আপনার এটাও মনে হতে পারে আপনি স্থির কোনো কিছুর চারপাশে ঘুরছেন। ভার্টিগো সম্পর্কে আপনার যা জানা প্রয়োজন তা নিয়েই এ প্রতিবেদন।
ভার্টিগো কি?
ভার্টিগো হচ্ছে এক ধরনের শারীরিক অনুভূতি যেখানে আপনার চারপাশে পৃথিবী ঘুরছে অথবা স্থির পৃথিবীর চারপাশে আপনি ঘুরছেন মনে হবে। পাম বীচ নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের স্নায়ুবিশারদ আরিফ ডালভি বলেন, ‘এই ঘূর্ণন অনুভূতি ছাড়াও আপনার বমিবমি ভাব অথবা ডাবল ভিশন (একটি জিনিসকে দুটি দেখা) হতে পারে। কিছু লোকের শ্রবণশক্তিও হ্রাস পায় এবং ভার্টিগোর কারণের ওপর ভিত্তি করে টিনিটাস (বাইরের কোলাহল ব্যতীত কানে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা, বিশেষ করে শোঁ শোঁ শব্দ বা বায়ুপ্রবাহের শব্দ, এছাড়া ঘন্টা বাজার শব্দ, বাঁশি বাজার শব্দ কিংবা গুনগুন শব্দও শুনতে পারেন) হতে পারে।’
ভার্টিগো কতক্ষণ থাকে?
যদি আপনি রোলারকোস্টার অথবা নাগরদোলায় না চড়েন, তাহলে কয়েক সেকেন্ডের বেশি সময় মাথা ঘোরা অনুভূতি ভীতিকর। কিছু ভার্টিগো অ্যাটাক গড় রোলারকোস্টার রাইডের চেয়েও বেশি সময় স্থায়ী হয়। ডা. ডালভি বলেন, ‘ভার্টিগোর স্থায়িত্ব কারণের ওপর নির্ভর করে। সাধারণ কারণের ক্ষেত্রে এটি কয়েক মিনিট থাকতে পারে, অন্যান্য কারণের ক্ষেত্রে ভার্টিগো কয়েক ঘন্টা, কয়েক দিন অথবা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।’ আপনার ভার্টিগোর স্থায়িত্বের সময়ের দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে শনাক্তকরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ওপর ভিত্তি করে আপনার চিকিৎসক ভার্টিগোর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে পারেন।
ভার্টিগো কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ
শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভার্টিগো হতে পারে। কিছু সমস্যা অধিক মারাত্মক, আবার কিছু সমস্যা তেমন একটা দুশ্চিন্তার নয়। কিন্তু ভার্টিগোর কারণ যাই হোক, ভার্টিগো প্রায়ক্ষেত্রে নিজে নিজে চলে যায় অথবা সফলভাবে এর চিকিৎসা করা যায়। দ্য কলোনি ইআর হসপিটালের ইমার্জেন্সি ফিজিশিয়ান ডেরেক বেনেটসেন বলেন, ‘ভার্টিগো সৃষ্টি করে এমন অনেক রোগ ভেস্টিবিউলার সিস্টেমকে অ্যাফেক্ট করে। ভেস্টিবিউলার সিস্টেম হচ্ছে আমাদের অন্তঃকর্ণের একটি নিউরোপ্যাথওয়ে যা মস্তিষ্কের মুভমেন্ট শনাক্ত করে ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চারপাশের অবজেক্টের মাঝে আমাদের শরীরের অবস্থান শনাক্ত করে। কিছু মেডিক্যাল কন্ডিশনের ক্ষেত্রে ভেস্টিবিউলার নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে ত্রুটিপূর্ণ বা ভুল সংকেত পৌঁছতে পারে। যখন এরকম ঘটে, তখন মস্তিষ্ক ভুল সংকেতকে মুভমেন্ট হিসেবে শনাক্ত করে, যার ফলে ভার্টিগো হয়ে থাকে।’ কি কারণে ভার্টিগো হচ্ছে তা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। ভার্টিগোর চিকিৎসায় যে সমস্যার কারণে ভার্টিগো হচ্ছে তার নিরাময় হবে এমন কোনো কথা নেই।
ভার্টিগো কত প্রকার?
অধিকাংশ নির্ণয়কৃত ভার্টিগো দুইটি ক্যাটাগরিতে পড়ে: পেরিফেরাল অথবা সেন্ট্রাল। এর মানে হচ্ছে এই সমস্যার উৎস আপনার অন্তঃকর্ণ (পেরিফেরাল) অথবা এই সমস্যা আপনার স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত (সেন্ট্রাল)। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরির কয়েকটি সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। সাধারণত রোগীদের মাঝে সেন্ট্রাল ভার্টিগোর তুলনায় পেরিফেরাল ভার্টিগো বেশি প্রকাশ পায়।
শোয়া থাকা অবস্থায় কি কারণে ভার্টিগো হয়?
এই পেরিফেরাল ভার্টিগোর সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে বিনাইন প্যারোক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (বিপিপিভি), বলেন ডা. বেনেটসেন। বিপিপিভির একটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে অন্তঃকর্ণে ক্যালসিয়াম জমা, কিন্তু প্রায়ক্ষেত্রে এই সমস্যার উৎস স্পষ্ট নয়। বিপিপিভি কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে এবং প্রায়ক্ষেত্রে মাসে মাসে এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। বিপিপিভির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঘূর্ণনের রেঞ্জ হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং হঠাৎ মস্তিষ্কের মুভমেন্ট দ্বারা এটি প্ররোচিত হতে পারে, যেমন- মাথা নাড়ানো। ডা. ডালভি বলেন, ‘বিপিপিভির লোকেরা দ্রুত মাথার অবস্থান পরিবর্তন করার সময় ভার্টিগো অনুভব করতে পারে, যেমন- বিছানায় শোয়ার অবস্থান পরিবর্তন করা। তাদের চোখ দ্রুত নড়াচড়াও করতে পারে, যাকে নিস্ট্যাগমাস বলে।’ শোয়া থেকে বসা, বসার পরে শোয়া অথবা দাঁড়ানো এ ধরনের ভার্টিগো সৃষ্টি করতে পারে। মায়ো ক্লিনিক অনুসারে, বিপিপিভি পুরুষদের চেয়ে নারীদের বেশি হয় এবং উভয় লিঙ্গের পঞ্চাশোর্ধ্ব লোকদের এটি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু যে কারো বিপিপিভি হতে পারে।
মেনিয়েরে’স রোগ ও ভার্টিগো
মেনিয়েরে’স রোগ হচ্ছে অন্তঃকর্ণের একটি ব্যাধি, যা ভার্টিগো, টিনিটাস ও শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হয়। এটি একটি ক্রনিক সমস্যা যার কোনো নিরাময় নেই, কিন্তু রোগীরা উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করতে পারে, বলেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মেনিয়েরে’স রোগ বিশেষজ্ঞ আইয়ান সুইনবার্নি। তিনি যোগ করেন, ‘মেনিয়েরে’স রোগ দ্বারা সৃষ্ট ভার্টিগো সম্ভবত অন্তঃকর্ণের ত্রুটিপূর্ণ বা অস্বাভাবিক কার্যক্রমের কারণে হয়ে থাকে। মেনিয়েরে’স রোগের কারণ সম্পর্কে তেমন বোধগম্য হওয়া যায়নি, কিন্তু কিছু প্রমাণ ধারণা দিচ্ছে যে কানের ভেতরের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কানকে আমাদের শরীরের মুভমেন্ট স্বাভাবিকভাবে বোঝার জন্য এটিকে অবশ্যই তার ভেতরের পরিবেশ এমনভাবে বজায় রাখতে হবে যেন মস্তিষ্কের মুভমেন্ট শনাক্তকারী বিশেষ কোষ সঠিকভাবে কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে। মেনিয়েরে’স রোগের রোগীদের বারবার ভার্টিগো হয়, কারণ অত্যধিক তরলের চাপে অন্তঃকর্ণের টিস্যু ছিঁড়ে যায়- যার ফলে কানের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।’
নাবিকেরা, সাবধান
ম্যাল ডি ডিবারকুইমেন্ট (যার ইংরেজি অনুবাদ হচ্ছে: সিকনেস অব ডিসেম্বার্কমেন্ট) তাদের মধ্যে ভার্টিগো সৃষ্টি করতে পারে যারা জলযানে সময় কাটিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, ড্রাইভিং বা ফ্লাইয়িংয়ের পর এটি ঘটতে পারে, যদিও সামুদ্রিক ভ্রমণ হচ্ছে সর্বাধিক কমন কারণ। ডা. বেনেটসন বলেন, ‘জাহাজ ত্যাগ করে শুষ্ক ভূমিতে পা রেখে অনেকে মাথা ঘোরা অনুভব করতে পারে অথবা ভারসাম্য হারাতে পারে।’ ভিইডিএ নামক একটি অলাভজনক সংস্থা এই ভেস্টিবিউলার ডিসঅর্ডার সম্পর্কে আলোচনা করেছে, এই সংস্থার মতে: এমনকি কেউ ওয়াটারবেড ত্যাগ করেও ম্যাল ডি ডিবারকুইমেন্টে ভুগতে পারে। ডা. বেনেটসেন বলেন, ‘এই ধরনের ভার্টিগো সাধারণত অল্প সময় থাকে, কিন্তু অন্যান্য ভার্টিগোর মতো ভীতিকর অনুভূতি দিতে পারে।’
অ্যাকিউট ল্যাব্রিনথাইটিস ও ভার্টিগো
যেহেতু পেরিফেরাল ভার্টিগো অন্তঃকর্ণের অস্বাভাবিক কার্যক্রম দ্বারা হয়ে থাকে, তাই কানের ইনফেকশনের কারণে ভার্টিগো হলে এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। ডা. ডালভি বলেন, ‘অন্তঃকর্ণের ইনফেকশনের কারণে অ্যাকিউট ল্যাব্রিনথাইটিস নামক ডিসঅর্ডার বিকশিত হয় যা তীব্র ধরনের ভার্টিগো সৃষ্টি করতে পারে।’ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশন (যেমন- হার্পিস সিম্প্লেক্স) দ্বারা অ্যাকিউট ল্যাব্রিনথাইটিস হয়ে থাকে। অন্যান্য ইনফেকশনও (যেমন- ওটাইটিস মিডিয়া) ভার্টিগোর কারণ হতে পারে।
ভেস্টিবিউলার নিউরনাইটিস ও ভার্টিগো
এই কন্ডিশন অন্তঃকর্ণের মধ্যে অবস্থিত ভেস্টিবিউলোককলিয়ার নার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যখন এই নার্ভে প্রদাহ হয়, এটি মাথার অবস্থান ও ভারসাম্য সম্পর্কে তথ্য মস্তিষ্কে সঠিকভাবে প্রসেস হওয়ার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। এটি তীব্র পেরিফেরাল ভার্টিগো সৃষ্টি করে এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গও, যেমন- মনোযোগ দিতে সমস্যা। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক অনুসারে, ভাইরাল ইনফেকশনের (যেমন- শিনগ্লেস, হার্পিস সিম্প্লেক্স, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস, ফ্লু, চিকেন পক্স ও মাম্পস) কারণে ভেস্টিবিউলার নিউরনাইটিস হতে পারে।
স্ট্রেস ও ভার্টিগো
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ভার্টিগোর মাত্রাও বাড়াতে পারে। ইনস্পিরা হেলথ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত ডিপার্টমেন্ট অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের রিক পেস্ক্যাটোর বলেন, ‘স্ট্রেস ও ভার্টিগোর সম্পর্ক নিয়ে অনেকে পরীক্ষা করেছে। এসব পরীক্ষার ফলাফল ছিল: স্ট্রেস ভার্টিগোর ওপর প্রভাব ফেলে। প্রমাণের আলোকে এটা বলা যায় যে, স্ট্রেস দ্বারা ভার্টিগোর অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে, কিন্তু এটি শুধু কয়েক প্রকার ভার্টিগোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য- বিশেষ করে বিপিপিভি ও ভেস্টিবিউলার নিউরনাইটিসের ক্ষেত্রে। স্ট্রেস ভার্টিগো সৃষ্টি করতে পারে কিনা তা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।
ভাইরাল মেনিনজাইটিস ও ভার্টিগো
ভাইরাল মেনিনজাইটিস হচ্ছে স্পাইনাল কর্ড ও মস্তিষ্কের চারপাশের মেমব্রেনের প্রদাহ। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের লক্ষণের মধ্যে ফ্লু’র মতো উপসর্গ, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ও তীব্র মাথাব্যথা অন্তর্ভুক্ত। ডা. ডালভি বলেন, ‘মেনিনজাইটিস কিছু ক্ষেত্রে ভার্টিগো সৃষ্টি করতে পারে।’ এই ধরনের ভার্টিগোকে সেন্ট্রাল ভার্টিগোর শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে অ্যাফেক্ট করে এমন কন্ডিশন থেকে উদ্ভূত হয়।
স্ট্রোক ও ভার্টিগো
সেন্ট্রাল ভার্টিগোর আরেকটি কারণ হচ্ছে স্ট্রোক। ডা. পেস্ক্যাটোর বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে স্ট্রোক দ্বারা সৃষ্ট ভার্টিগো খুব বিরল এবং তা সাধারণত বয়স্ক রোগীদের হয়ে থাকে। সাধারণত স্ট্রোক জনিত ভার্টিগো যাদের মস্তিষ্কের পেছনে স্ট্রোক হয় তাদের হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের পেছনের স্ট্রোককে পোস্টেরিয়র সার্কুলেশন স্ট্রোক বলে।’ হার্ভার্ড হেলথ অনুসারে, আপনি ধূমপান বর্জন করে, ওজন কমিয়ে (যদি প্রয়োজন হয়), অধিক ব্যায়াম করে ও অ্যালকোহল পরিহার করে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন।
ভেস্টিবিউলার মাইগ্রেন ও ভার্টিগো
ডা. ডালভি বলেন, ‘কিছু মাইগ্রেন রোগীদের ভার্টিগোসহ জটিল মাইগ্রেন থাকতে পারে।’ এ ধরনের মাইগ্রেনকে এমএভি (মাইগ্রেন-অ্যাসোসিয়েটেড ভার্টিগো) বলে। ভিইডিএ’ র মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ মাইগ্রেন রোগীদের জীবনে অন্তত একবার হলেও ভার্টিগো দেখা দেয়। ভেস্টিবিউলার মাইগ্রেনের উপসর্গের মধ্যে তীব্র মাথাব্যথা, ভার্টিগো, মাথাঘোরা ও ভারসাম্য হারানো অন্তর্ভুক্ত।
যেসব অভ্যাস ভার্টিগোকে আরো খারাপ করে
ডা. বেনেটসেন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে ভার্টিগোর অধিকাংশ কারণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। স্ট্রেস, বায়ুচাপের পরিবর্তন, ডিহাইড্রেশন এবং এমনকি ঘুমের ঘাটতিও ভার্টিগোর মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।’ মেডিটেশন অথবা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস হ্রাস করে কিছু ক্ষেত্রে ভার্টিগো এড়িয়ে চলতে পারেন। নিশ্চিত হোন যে আপনি হাইড্রেটেড আছেন, বিশ্রামও আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ডা. বেনেটসেন বলেন, ‘ডায়েটের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল, উচ্চ লবণ সমৃদ্ধ খাবার ও অত্যধিক ক্যাফেইন পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এদের যেকোনোটি ভার্টিগোর অবস্থাকে আরো খারাপ করতে পারে। মেনিয়েরে’স রোগের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন তীব্র টিনিটাসের কারণ হতে পারে।’
ভার্টিগো হলে কি করবেন?
যখন আপনার ভার্টিগো হবে, কোনো স্থানে স্থির হয়ে বিশ্রাম নিন। ডা. ডালভি বলেন, ‘তীব্র ভার্টিগোর ক্ষেত্রে অ্যাকিউট এপিসোড থিতিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত বেড রেস্ট প্রয়োজন হতে পারে।’ তিনি সতর্ক করেন, ‘তীব্র ভার্টিগোর ক্ষেত্রে হাঁটার চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হতে পারেন। ডা. বেনেটসেন বলেন, ‘যথাসম্ভব অবস্থান পরিবর্তন না করার চেষ্টা করুন। অত্যধিক নিউরোলজিক স্টিমিউল্যান্ট (যেমন- অত্যধিক আলো ও শব্দ) হ্রাস করলে উপকার পাবেন। কিছু ওষুধ ভার্টিগোর উপসর্গ উপশম করতে পারে, যেমন- মেকলিজাইন (অ্যান্টিভার্ট)।