পহেলা বৈশাখের উৎসবে দিনভর ঘোরাঘুরির আয়োজন প্রায় শেষ। অন্যান্য দিন ঘরে বসে থাকলেও উৎসবের এই দিনে ঘরে বসে থাকা চলবে না মোটেও। বৈশাখী মেলায় ঘোরা আর মজার সব বাঙালি খাবার খেয়ে দিন পার করাই থাকে সব তরুণ-তরুণীর উদ্দেশ্য। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রবীনরাও বাদ যান সে ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু নতুন পোশাকে গ্রীষ্মের খরতাপে নিজেকে সুস্থ রাখার বিষয়টি খুবই জরুরি। অনভ্যাসে হঠাৎ করে গরমের মাঝে ঘোরার সময় আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন-
আরামদায়ক পোশাক
সুতি হলেও শাড়িতে বা থ্রি-পিসে সবাই স্বস্তি পায় না। নিয়মিত যে পোশাকে আপনি অভ্যস্ত বৈশাখী সাজেও তেমন স্টাইলের পোশাক পরতে পারেন। বৈশাখী উৎসবকে আরও বেশি আনন্দের করতে স্বস্তির পোশাকটি বেছে নেয়া জরুরি।
ব্যাগ
এখন বড় ব্যাগের ফ্যাশন চলছে। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগ নির্বাচন করুন। কালো, লাল, চকলেট যেকোনো রঙের ব্যাগ বেছে নিতে পারেন। বৈশাখী শাড়ির সঙ্গে যেকোনো ব্যাগ কিন্তু মানিয়ে যায়। গরমের এই দিনে যারা দিনভর বাইরে ঘোরার পরিকল্পনা করছেন তারা অব্শ্যই কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে রাখতে পারেন। যেমন- ছোট ছাতা, পানির বোতল, হাল্কা মেকআপ, রুমাল বা টিস্যু, মোবাইল, ছোট আয়না ইত্যাদি। ঘোরার ফাঁকে নিজের সাজটা ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে পারেন। তাহলে দিনশেষেও আপনি থাকবেন সাজ-পোশাকে অনন্য।
জুতা
বৈশাখী মেলায় সারাদিন নিশ্চয় রিকশায় ঘুরবেন না, পায়ে হেঁটেই চলতে হবে বহু পথ। তাই বেছে নিতে পারেন আরামদায়ক সুন্দর একজোড়া জুতা। সারাদিন হাটাহাটিতে আপনার পায়ে ফোসকাও পড়বে না আবার পায়েও ব্যথা হবে না। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন একদমই ফ্লাট জুতা। আপনার দেহের ব্যালান্স ঠিক রেখে পায়ের যত্ন নিশ্চিত করতে ফ্লাট জুতার তুলনা নেই।
স্যালাইন পানি
সারাদিন গরমে যখন ঘুরবেন তখন ঘাম ঝরবেই। তাই বলে অতিরিক্ত ঘেমে দুর্বল হয়ে যাওয়া উচিৎ হবে না। দিনের সবটুকু ঘোরা আপনার জন্য আনন্দময় করতে চাঙ্গা থাকা জরুরি। সেজন্য ব্যাগের মধ্যে রাখা বোতলের পানিতে একটি স্যালাইন গুলে নিতে পারেন। আবার ডাবের পানিও রাখতে পারেন। মাঝে মাঝে তৃষ্ণা মেটাতে দুয়েক চুমুক আপনাকে রাখবে একদমই সতেজ।
স্বস্তিদায়ক গহনা
শাড়ির সঙ্গে বা থ্রি-পিসের সঙ্গে মিলিয়ে জড়োয়া গহনা পরে বের হয়েছেন পহেলা বৈশাখের প্রভাতী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। পরিকল্পনা আছে সারাদিন বাইরে কাটাবেন। গলা ভর্তি মালা বা কান ঝুলে পড়া দুলের ভার একটু সময় পরেই আপনার মধ্যে অস্বস্তির জন্ম দিতে পারে। তাই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে আরামদায় বা পাতলা গহনা বেছে নিতে পারেন।