muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

পৌরসভা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অন্য কোন দল অংশ নিতে পারবে না

election
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পৌরসভা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অন্য কোন দল অংশ নিতে পারবে না। এমন বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রস্তাবিত বিধিমালাটি চূড়ান্ত করে ভেটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরীকদের নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। যদিও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জোটের কোনো কোনো শরীক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সরকারভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জোটগত নির্বাচনের কোনো বিধান রাখা হয়নি ইসির প্রস্তাবিত বিধিমালায়। শুধুমাত্র ইসিতে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে সংরক্ষিত প্রতীক দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য মেয়র পদে ১২টি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০টি ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১২টি নির্দলীয় প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয় সরকার দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে দলীয় ফোরামে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের রুপরেখা তৈরি করা হয়নি। তাই আলোচনার আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য ঠিক হবে না।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এ ধরনের সংশোধনী আনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দুই জোটের শরিকেরা।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিধিমালা সংশোধন করছে। কী বুঝে এ বিধান রাখা হচ্ছে, তা উনারা বলতে পারবেন। একইভাবে ১৪দলীয় জোটেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি জোটে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরীক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। দূরভিসন্ধিমূলকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থায় এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

Tags: