একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে ইসি।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে ২২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক হবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, সকল মহানগর পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার সকালে ইসির কাছে বিএনপি অভিযোগ করেছে, ইসির নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দলটির তথ্য অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৭৭৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালিকাটা আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো দেখিনি। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে এবং সেটা রাজনৈতিক হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই প্রশাসনকে নির্দেশনা দেব, যেন হয়রানিমূলক মামলা না করে। কারণ, হয়রানিমূলক মামলা হলে নির্বাচনী পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।’
৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।