কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর সভার পশ্চিম ধূলজুরী গ্রামের খেটে খাওয়া ও অভাবী মানুষ, বাঁশ শিল্পে কাজ করে তাদের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন।
হোসেনপুর উপজেলা সদর থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে পশ্চিম ধূলজুরী গ্রামের অবস্থান। স্বাধীনতা উত্তর এ অঞ্চলের অভাবী মানুষের দুঃখ কষ্টের অন্ত ছিল না। উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া গ্রামের আশু বিড়ি ও হনুমান তলার মোমতাজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।
কালক্রমে এসব বিড়ির ফ্যাক্টরী বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে তারা বেছে নেয় বাঁশ শিল্পের কাজ। ৭০% লোক বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত। এ শিল্পে মহিলারাও পিছিয়ে নেই। সাংসারিক কাজের ফাঁকে প্রতিদিন পথ চলার পাথেয় হিসেবে ওরা বেছে নিয়েছেন বাঁশ লিল্পের কাজ। বাঁশ দিয়ে তৈরি খাচা হোসেনপুর উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পাইকারী ভাবে দেশের অন্যান্য স্থানেও বিক্রি হয়ে থাকে। বিভিন্ন জাতের খাঁচার মধ্যে বেরখাঁচা, ডোলখাঁচা, মোরগিখাঁচা, পিঞ্জাখাঁচা, উড়িখাঁচা ও মাটি কাটার খাঁচা উলেখযোগ্য। অনেকেই এ শিল্পের আয় থেকে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ বিদেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠিয়েছেন।
এলাকার বাঁশ শিল্পের কারিগর হেলাল উদ্দিন জানান, বিভিন্ন এলাকায় কারণে অকারণে প্রচুর বাঁশ ঝাড় উজাড় হওয়ায় এ লাভ
জনক শিল্পটি বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ/এন