প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২৪ রান। এর জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা শুভ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুতেই ফেরেন কাইরন পাওয়েল। টিম বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় ওপেনার।
কিছুক্ষণ পর সাকিব আল হাসানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন শাই হোপ। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তার বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট। এরপর আরও চারটি উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৮৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপর্যয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ পরিস্থিতিতে নেমে স্বাভাবিকভাবেই ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করার কথা একজন ব্যাটসম্যানের। তবে ঠিক উল্টো পথে হাঁটেন শিমরন হেটমায়ার। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। তবে ভয়ংকর হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুর্দান্ত ডেলিভেরিতে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করে তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন তিনি। তাতে ভাঙে ৯২ রানের জুটি। ফেরার আগে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ৪৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ রান করেন হেটমায়ার।
শেষ খবর পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে উইন্ডিজ।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ৩২ এবং নাঈম হাসান ২৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। যতটা সম্ভব সংগ্রহ বাড়িয়ে নেয়া লক্ষ্য ছিল টাইগারদের। এজন্য তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসানের দিকে তাকিয়ে ছিল।
তবে এদিন খুব বেশি দূর যেতে পারেনি এ জুটি। শুরুতেই জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে শাই হোপকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম (২৬)। খানিক বাদেই একই বোলারের এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়ে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও জোমেল ওয়ারিক্যান।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ/এন