কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপি-যুবলীগ সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় তিন সাংবাদিকসহ বিএনপি’র ২’শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানীয় যুবলীগ। গেল ১৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের গ্রামে যুবলীগ কর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগে গত ২৩ নভেম্বর শুক্রবার পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৩৩।
মামলায় ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো.শাহিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১শ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। এই মামলায় দৈনিক দিনকালের ভৈরব প্রতিনিধি সোহেলুর রহমান, এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক নয়াদিগন্ত ভৈরব সংবাদদাতা সজীব আহমেদ ও দৈনিক ইনকিলাবের ভৈরব সংবাদদাতা এম.আর রুবেলকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের আসামী করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক সমাজসহ ভৈরবের সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এ ঘটনায় ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের চন্ডিবের গ্রামে বিএনপির উঠোন বৈঠককে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও যুবলীগ সর্মকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৪ পুলিশ সদস্য সহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মী ও ক্ষমতাশীন দলের ৪ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনার পর ওইদিন রাতেই যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের কর্মীরা দ্বিতীয় দফায় ভৈরব বাজারস্থ বিএনপি অফিসসহ বিএনপি সমর্থকদের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম। তবে বিপরীতে যুবলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে ও এলাকায় পৌছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালালে এঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের একদিন পর গত ১৯ নভেম্বর বিএনপির ৪৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৩’শ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর পাঁচদিন পর যুবলীগের কর্মীদের মারধর ও মটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগে ২৩ নভেম্বর শুক্রবার স্থানীয় তিন সাংবাদিকসহ ৯৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১’শ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করেন ভৈরব পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমরাস হোসেন ইমন।
এদিকে রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের অভিযুক্ত করার বিষয়টি ক্ষমতাশীন দলের স্থানীয় সাংসদের নজরে এনে বিবেচনার দাবি তুলেছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গগণ।
Tags: