স্ত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষন শেষে হত্যার অভিযোগে বরগুনায় স্বামীসহ ৪ জনকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদন্ড। সেইসাথে প্রত্যেককে করা হয়েছে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড।
বৃধবার দুপুরে রায় ঘোষনা করেছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, ইব্রাহীম তালুকদার, আবদুস সালাম, আবদুর রহমান ও আবুল কালাম। এদের বাড়ী বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামে। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর আসামী জহিরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
নিহতের ভাই মোসলেম আলী ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর তালতলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানিয়েছেন, মোসলেম আলীর আপন বোন পরিভানুকে ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আ. সালাম তার বসত ঘর থেকে পানের বরজে বেশী টাকায় কাজ দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে ওই রাতেই পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম তালুকদার, আবদুস সালাম, আবদুর রহমান ও আবুল কালাম প্রতিবেশী আফাজ প্রফেসরের ধান ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করে। এই ঘটনার ৭ দিন পর সালামকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে আমতলী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সালাম। পরে ইব্রাহীম তালুকদার ও আবদুর রহমান গ্রেফতারের পরে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম তালুকদার ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে তার জবান বন্দিতে বলেছেন, তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করায় পরিভানু তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। আদালতে হাজিরা দিতে দিতে তিনি হাফিয়ে উঠে পরীভানুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। আসামী আবদুস সালাম ও আবদুর রহমান ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে জবান বন্দি দিয়ে বলেছেন, পরিভানুর স্বামী ইব্রাহীম তাদেরকে ডেকে নেয় এবং ইব্রাহীম তালুকদারের কথামত পরিভানুকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। আদালত মোট ১১ জন স্বাক্ষীর জবান বন্দি রেকর্ড করেন। সকল স্বাক্ষী বাদীর মামলা সমর্থন করে স্বাক্ষী দিয়েছেন।