কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ ও মেয়ের বাবাকে নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার, ২৮ নভেম্বর বিকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে মেয়ের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিবাহ বন্ধ ও জরিমানা করা হয়।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মোঃ শাহ আলমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া গাংপাড়ার মোঃ জীবনের (২২) সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠনিকতা চলছিল। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করেন।
এসময় মেয়ের বাবা তার মেয়ের বিবাহের পূর্ণ বয়স হয়েছে দাবি করলে তিনি মেয়ের জন্ম নিবন্ধন দেখাতে বলেন। মেয়ের বাবা জন্ম নিবন্ধন কপি দেখালে, এটি যাচাইয়ে ভূয়া প্রমানিত হয়। এতে করে বাল্য বিবাহের অভিযোগে মেয়ের বাবা শাহ আলমকে নগদ ৩০,০০০/- অর্থদন্ড প্রদান ও ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না বলে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
অপর দিকে বর পক্ষের কাউকে উপস্থিত না পাওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কিরাটন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, করিমগঞ্জ থানার এসস আই সোহেলসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ভূয়া ও জাল জন্ম সনদটি প্রস্তুত ও পেতে সহায়তা করেছে কিরাটন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মঞ্জুরুল হক। তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন।