আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বাতিল করা হয়েছে ২১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।
রোববার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবক-সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত বাছাই কার্যক্রম চলে।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে শরীফুল ইসলাম (বিএনপি), খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (বিএনপি), অ্যাডভোকেট মুহ. আবদুর রহমান (জেএসডি), মো. মোস্তাইন বিল্লাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ ইউসুফ (বিকল্প ধারা)।
এই আসনের বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি ও মো. মশিউর রহমান হুমায়ুন (আওয়ামী লীগ), মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু (বিএনপি), অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন (গণতন্ত্রী পার্টি), মো. আমিনুল ইসলাম তারেক (কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ), মো. এনামুল হক (কমিউনিস্ট পার্টি), মো. মহিউদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এবং মুহাম্মদুল্লাহ জামী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম)।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান রঞ্জন (বিএনপি), এরশাদ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), নূরুল ইসলাম (সিপিবি), মো. লুৎফুর রহমান (জেএসডি), মো. সালাউদ্দিন রুবেল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (মুসলিম লীগ), আনিসুজ্জামান খোকন (স্বতন্ত্র)।
এই আসনে সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ (আওয়ামী লীগ), মো. শহীদুজ্জামান কাকন (বিএনপি) এবং জাকের পার্টি প্রার্থী দলের মো. আব্দুল জব্বারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে সাইফুল ইসলাম সুমন (বিএনপি), ডক্টর মিজানুল হক (স্বতন্ত্র), ডা. এনামুল হক (সিপিবি), মো. আম্মান খান (স্বতন্ত্র), মো. মনিরুজ্জামান নয়ন (স্বতন্ত্র)।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস (বিএনপি), দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া (গণতন্ত্রী পার্টি), মো. শওকত আলী (জাসদ), মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (সমাজতান্ত্রিক দল) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আলমগীর হোসাইনের মনোনয়নপত্র বৈধ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপি প্রার্থী সুরঞ্জন ঘোষের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, বিএনপি প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী খায়রুল ইসলাম ঠাকুরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে মো. আফজাল হোসেন এমপি (আওয়ামী লীগ), বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ও মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান খান (মুসলিম লীগ), গাজী এনায়েতুর রহমান (গণতন্ত্রী পার্টি), মো. ফরিদ আহাম্মদ (কমিউনিস্ট পার্টি), খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন (ওয়ার্কার্স পার্টি), মো. ইব্রাহীম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী শাহ আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। বাদ পড়েছেন সেলিনা সুলতানা (জাসদ)।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র) ও মোহাম্মদ মুছা খান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন এমপি, মো. শরীফুল আলম (বিএনপি), নূরুল কাদের সোহেল (জাতীয় পার্টি) এবং ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রুবেল হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, হলফনামায় ভুল তথ্যসহ নানা অসঙ্গতির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।