রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে তার অভিভাবককে অপমানের ঘটনাকে ‘বাজে দৃষ্টান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।
অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন।
এ আইনজীবী বলেন, ‘আমি বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত আমাকে এ ঘটনার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে একটি রিট আবেদন নিয়ে আসতে বলেছেন। এবং আদালত এ আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে তার অভিভাবককে অপমানের ঘটনাকে ‘বাজে দৃষ্টান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এরই মধ্যে ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিও।
আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়ে অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার তার মেয়ের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়। ওই মোবাইল দিয়ে নকল করছে এমন অভিযোগে সোমবার তার বাবা-মাকে নিয়ে অরিত্রিকে স্কুলে যেতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সোমবার দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও অরিত্রিকে নিয়ে স্কুলে যান।
প্রথমে তারা ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের ‘অপমান’ করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন এসে মেয়ের টিসি (স্কুলের ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। এরপর দিলীপ অধিকারী প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। প্রিন্সিপালও তাদের সঙ্গে ভাইস প্রিন্সিপালের মতো আচরণ করেন বলে জানান দিলীপ অধিকারী।
এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। এরপর অরিত্রির বাবা-মা বাসায় গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।
প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।