একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জে ৩৪ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়বেন। জেলার ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৫৫ প্রার্থী। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে ২১ জন বাদ পড়লেও আপিলে ফিরে আসেন ১২ জন। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশে আরো তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়।
অবশেষে রোববার (০৯ ডিসেম্বর) ছয় জনের আপনা-আপনি বাতিল ও ৯ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ জনে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পাঁচ জন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সাত জন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ছয় জন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে চার জন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সাত জন এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে পাঁচ জন।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. এনামুল হক (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান অ্যাডভোকেট (তারা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন (হাতপাখা)।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী নূরুল ইসলাম (কাস্তে), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল জব্বার (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রুবেল (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (আম) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (হারিকেন)।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি (লাঙ্গল), জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আলমগীর হোসাইন (হাতপাখা), সিপিবি প্রার্থী ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ (কাস্তে), গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া (কবুতর) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শওকত আলী (মশাল)।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী খায়রুল ইসলাম ঠাকুর (রিক্সা)।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. ফরিদ আহাম্মদ (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী সেলিনা সুলতানা (তারা), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. ইব্রাহীম (হাতপাখা) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী শাহ আলম (আম)।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি প্রার্থী নূরুল কাদের সোহেল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ মুছা খান (হাতপাখা) এবং ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রুবেল হোসেন (মোমবাতি)।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ/এন