তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে ১-১ ব্যবধানে সমতা ছিল। তাই সিলেটে শেষ ম্যাচটি পরিণত হয় অঘোষিত ফাইনালে। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সুবাদে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল মাশরাফি বাহিনী।
শুক্রবার সিলেটে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য হাতের নাগালে থাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের নৈপুণ্যে দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৮.৩ ওভারের খেলা শেষে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ২০২ রান।
জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৫ রানে আউট হন লিটন দাস। কিমো পলের বলে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ২২ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। এ দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি। জুটিতে ১৩১ রান যোগ হওয়ার পর সেই কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন তামিম। তামিম ১০৪ বল থেকে ৯টি চারের মারে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৬ রান নিয়ে।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে। একদিকে ওপেনার শাই হোপ লড়াই করে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে চলে আসা যাওয়ার পালা। সেই আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল হন ৮ ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে মারলন স্যামুয়েলসের ১৯ রানই সেরা সংগ্রহ।
হোপ ৯টি চার ও একটি ছক্কার মারে ১৩১ বলে ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এর আগে ঢাকাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাতেও সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের ম্যাচ জেতান হোপ। অপরদিকে দেবেন্দ্র বিষু অপরাজিত থাকেন ৬ রান করে। মিরাজ মাত্র ২৯ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট নেন। এটি ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া সাকিব ও মাশরাফি দুটি করে উইকেট নেন। আর বাকি এক উইকেট নেন সাইফ উদ্দিন।
টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সিরিজ সেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপ। অপরদিকে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।