আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে ব্যক্তিগত বাসভবন ‘সুধাসদন’ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভা ও ভোটের প্রচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এবং নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে চার বার এমপি হন। দল ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, এলজিআরডি মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
বর্তমানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত জনপ্রিয় এ নেতা শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সংসদ থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থাতেই তাকে মনোনয়ন দেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে। সৈয়দ নজরুল ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত চার জাতীয় নেতার অন্যতম।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দলের প্রতি অবিচল আনুগত্য, নির্মোহ জনঘনিষ্ঠতা সৈয়দ আশরাফের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার কারণ। তিনি দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এলাকার উন্নয়নও করেছেন যথেষ্ট। সৈয়দ আশরাফ কোনো দলের নন, তিনি সবার।