ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা গুলশান থানার এক মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোটের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দেন।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন এ এফ হাসান আরিফ, তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
পরে আইনজীবী মাসুদ রানা জানান, এটি নিয়ে চারটি মামলায় তিনি জামিন পেলেন। এবং আগাম জামিন পেয়েছিলেন তিনটি মামলায়।
তিনি জানান, অন্য কোনো মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ‘সরকার বাধা সৃষ্টি না করলে’ তার মুক্তি পেতে বাধা নেই।
গত ২৬ অক্টোবর গুলশান থানায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক আওয়ামী লীগের নেত্রী।
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত সায়ন্ত। একপর্যায়ে লাইভে যুক্ত হন আইনজীবী মইনুল হোসেন। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে।
ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নামে মামলা হয়। বেশ কয়েকটি মামলায় তিনি জামিন নিলেও রংপুরের একটি মামলায় তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে রংপুর কারাগারে আছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা।