ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা পরিচালক শামীম মোঃ আফজাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলাম প্রচার ও প্রসারে ব্যপক ভূমিকা রেখে ছিলেন। তাই তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম প্রচার-প্রসারেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৩ হাজার ৭’শ ৬৮জন আলেম উলামার কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি করেছেন। কওমী শিক্ষার্থীদের সনদের সরকারি স্বীকৃতি প্রদান এবং কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)কে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। তিনি বলেন দ্বীনের জিম্মাদার হতে হলে শরয়ী ইলেম থাকতে হবে। মওদুদী, কাদিয়ানী ফ্যাতনা থেকে দূরে থাকতে হবে। ধর্ম শিক্ষা ছাড়া কোন শিক্ষক স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না। তাই বর্তমান সরকার মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক, সহজ কোরআন শিক্ষা ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের শিক্ষা কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মসজিদ ভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম এর আয়োজনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইফার কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক আহামেদ এর সভাপতিত্বে অতিথি আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, অতিঃ পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, মাসুদ আনোয়ার প্রমুখ।
অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ এনামুল হক, ফিল্ড অফিসার মাওলানা আবু সাঈদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইফার কিশোরগঞ্জ জেলার শহস্রাধিক শিক্ষকবৃন্দসহ উলামায়ে কেরমামগণ উপস্থিত ছিলেন।