মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ অং সান সু চিকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকালে বাংলাদেশে সরকার প্রধান এই টেলিফোন করেন বলে তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষ, তার সরকার, দল ও ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে সুচিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতিদান হিসাবে সু চি জনগণের এই ম্যান্ডেট পেয়েছেন।
মিয়ানমারে দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর প্রথমবারের মতো সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা না হলেও সু চির দল এনএলডি যে বিপুল ভোটে জিততে চলেছে, তা স্পষ্ট। ১৯৯১ সালের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চি বিজয়ী হলেও তাকে ক্ষমতায় বসতে দেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তারপর দীর্ঘ সময় গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। এর মধ্যে শান্তিতে নোবেল জয় করলেও পুরস্কার নিতে তাকে যেতেও দেয়নি সামরিক সরকার। আন্তর্জাতিক চাপ এবং দেশে আন্দোলনের মধ্যে সু চিকে মুক্তি দেওয়ার পর গণতন্ত্র ফেরাতে সম্মত হয় জান্তা। ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, মিয়ানমারের নেত্রী একথা বলার পর শেখ হাসিনাও বলেন, আমিও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম করছি।’
মিয়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামী অং সানের মেয়ে যেমন সু চি, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনা। সামিরক শাসনের বেড়াজাল ছিন্ন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা ও সু চি উভয়কেই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
শেখ হাসিনা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি সমর্থন জানান। টেলিফোন করার জন্য সু চিও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে।