কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। পাঁচটিতে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি একটিতে জয় পেয়েছেন মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু পেয়েছেন ৭১ হাজার ৪৩৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩২৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে চুন্নু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেএসডি’র ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৮৬ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে তৌফিক পেয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯০৮ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. আফজাল হোসেন। কেন্দ্র থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৫০ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিসিবি সভাপতি মো. নাজমুল হাসান পাপন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শরীফুল আলম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪ ভোট।