ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এই জয়ের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির মোট আসনসংখ্যা হলো ৮টি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনীত ৭ জন প্রার্থী জয়লাভ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ধানের শীষ প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈনউদ্দিন মঈন কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ৮ হাজার ৫৭৮ ভোট বেশি পেয়েছেন। মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ৩৯ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এদিকে ৩০ ডিসেম্বর অনিয়ম ও সংঘর্ষের কারণে স্থগিত হওয়া আশুগঞ্জের তিনটি কেন্দ্রে বুধবার কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে ভোট গণনা শেষে ৩ কেন্দ্রের ফলাফলে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী বিএনপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট।
এর মধ্যে ৩টি কেন্দ্রেই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন। তবে আগে থেকে বিএনপি মনোনীত প্রাথী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ১০ হাজার ১৫৯ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
এদিকে ৩টি কেন্দ্রের মধ্যে যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ১৬, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ৩ হাজার ৮৪০ এবং বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ৩ হাজার ৭১৭।
সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি থাকলেও দুপুরের চিত্র ছিল মাঠ ফাঁকা।
উল্লেখ্য যে, ৩০ ডিসেম্বর ভোট চলাকালে নির্বাচনী এলাকার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। এরপরই এই তিন কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে পুনর্নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।