সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান।
গতকাল বুধবার ভোর রাতে নগরীর উত্তরায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অহনার কোমরের হাড়ের সংযোগস্থল সরে গেছে, পিঠ থেঁতলে গেছে। বর্তমানে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অহনার বোন ইয়াসমিন মিতু।
জানা যায়, একটি অনুষ্ঠান শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উত্তরার বাসায় ফিরছিলেন অহনা। এ সময় তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। উত্তরা লেকড্রাইভ রোডের ৭ নম্বর সেক্টরে রাত সোয়া ৩টার দিকে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক অহনার গাড়িতে ধাক্কা দেয়। অহনা উত্তেজিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ট্রাকচালককে ট্রাক থেকে নামতে বলেন। তারপর শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে ট্রাকচালক ট্রাকের পেছনের গিয়ার দিয়ে অহনার গাড়িতে আবারো ধাক্কা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অহনা ট্রাকের দরজায় উঠে তাকে নামতে জোর করেন। চালক তার কথায় পরোয়া না করে গাড়ি টান দেয়। অহনা তখন ট্রাকের জানালা ধরে ঝুলতে থাকেন। ট্রাকটি ১২ নম্বর সেক্টরে গিয়ে অহনাকে ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে জোরে বাঁক নেয়। কিন্তু সামলাতে না পেরে ট্রাকটি বাম দিকে উল্টে পড়ে যায়। অহনা ছিটকে গিয়ে পাথরকুচির উপর পড়েন। পরবর্তী সময়ে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আজ সন্ধ্যায় অহনার বোন ইয়াসমিন মিতু বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও ডাক্তার এসেছিলেন। এক্সরেসহ বেশ কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন। অহনার ব্যাক সাইট পুরোটাই থেঁতলে গেছে। আর থেঁতলে যাওয়া স্থানে কুচি পাথর ঢুকেছে। এসব স্থানে এখন পুঁজ জমেছে। আর কোমরের হাড়ের সংযোগস্থল সরে গেছে। এখন ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। কারণ, অনেক ব্যথা হচ্ছে, যা ও সহ্য করতে পারছে না। শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে এক্সরে পর্যন্ত করানো যাচ্ছে না। টোটাল মুভ করানো সম্ভব হচ্ছে না।’
মামলা করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াসমিন মিতু বলেন, ‘গতকাল রাতে মামলা করেছি। আজ সকালে গিয়ে মামলার কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এখনো ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। তাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অহনা যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল তাতে সে মরে যেতে পারত। তখন কী হতো?’
তিনি আরো বলেন, ‘মামলা করেছি বলে তারা আবার হুমকি দিচ্ছে। তারা যেহেতু ভয় দেখাচ্ছে তা হলে অবশ্যই তাদের পাওয়ার আছে। যাই হোক, ভয় দেখিয়ে তো লাভ নেই, আমরা মামলা তুলে নিব না। সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’