যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৌকা অপসারণ এবং পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় আজও অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ইকবাল কবির জাহিদকে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিস্কার, শিক্ষার্থীদের অপমান করে টানানো পোস্টার অপসারণ, ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিশ্চিত করা, বর্ধিত রিটেক ফি কমানো এবং লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে অন্তত সাত দিন রাখার সুযোগের দাবি তোলা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের পূর্ব নির্ধারতি কর্মসূচি শুরুর আগেই বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে চলে আসে। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এতো বিপুল সংখ্যাক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
শাওন পারভেজ, ওমর ফারুক, শরিফউদ্দিনসহ অন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে একটি চক্র। এজন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে।তারই অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে র্যাগিং বিরোধী পোস্টার টানানো হয়েছে। অথচ যবিপ্রবির ইতিহাসে কোনদিন র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন বলেন, দাবি আদায় হওয়া না পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশন করবো।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ছাত্রলীগ একটি নৌকা প্রতীক টানায়। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করেই সেটিকে সরিয়ে ফেলেন সহকারী অধ্যাপক ইকবাল কবির জাহিদ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার ক্যাম্পাসে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষক ইকবাল কবির জাহিদের বহিষ্কার দাবি করেন। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক ছা্ত্রলীগের নেতাদের নিয়ে কটুক্তি করেন। আর আজ শনিবার আগের দাবির সাথে আরো পাঁচটি যুক্ত করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। যে বিক্ষোভ মিছিল থেকে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।