স্পেন ছেড়ে ইতালিতে গেলেও দেশটির আদালত পিছু ছাড়ছে না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ফুটবলের তীর্থভূমি স্পেনের আয়কর আইন খুব কড়া। তাই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্তাসে গিয়েও জেল-জরিমানা থেকে বাঁচতে পারলেন না তিনি। কর ফাঁকির মামলায় আজ মঙ্গলবার তাকে এক কোটি ৮৮ লাখ ইউরো জরিমানা ও ২৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মাদ্রিদের একটি আদালত।
২০১৭ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার ওই বছরের জুলাইয়ে মাদ্রিদের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এরপর রোনালদো স্পেনের কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করেন। এরই আনুষ্ঠানিকতা সারতে মঙ্গলবার মাদ্রিদের একটি আদালতে হাজির হন পর্তুগিজ এই তারকা ফরোয়ার্ড।
পুরো ঘটনা পরিক্রমায় মিডয়াকে এড়াতে চেয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তাই প্রথমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেওয়ার এবং পরে গাড়িতে করে আদালত ভবনে ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারক এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। যে কারণে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে নিয়ে আজ সশরীরে আদালতে হাজির হন পর্তুগাল অধিনায়ক। অল্প সময়ের মধ্যে আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পর তিনি সাংবাদিকদের শুধু একটু বলেন যে, ‘সবকিছু ঠিক আছে।’
উল্লেখ্য, জেলের সাজা পেলেও রোনালদোর কারাগারে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ স্পেনে সহিংস অপরাধ না করলে প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে ২ বছরের নিচে সাজা হলে জেল খাটতে হয় না। এর আগে ২০১৭ সালে রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসিকেও কর ফাঁকির দায়ে জরিমানা ও ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল স্পেনের একটি আদালত।