চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। আজ বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানানো হয় রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর পর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তার ভক্তরা উপস্থিত হন।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৫৭ সালে ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। এ ছাড়া স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন।
১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল দেশের সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।