কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ নারী। গত ২৮ জানুয়ারী সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
উপজেলার কান্দিগ্রাম মধ্য পাড়া গ্রামের মোঃ আঙ্গুর মিয়ার পুত্র মোঃ রাজিব মিয়া (৪০) অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী হামিদ মিয়া (৫০) এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জায়গা সম্পত্তি নিয়ে তাদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ীতে পুরুষ শূন্য থাকায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোমবার সকাল ৮ টার দিকে হামিদ মিয়া দলবল সহ দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে তাদের বাড়ীতে হামলা করে। হামলায় তার বোন সানজিদা আক্তার পাপিয়া (৩০), তানজিনা আক্তার কান্তা (২৫ ), ফারজানা আক্তার পপি (২৭) ও তার মা নাজমা আক্তার (৫০) কে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত যখম করে। এ সময় তার ছোট বোন তানজিনা আক্তার কান্তা (২৫) কে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। হামলাকারীরা তাদের নিকট থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, ডায়মন্ড রিংসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীরা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল হইতে ৪ নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে আহত তানজিনা আক্তার কান্তা বলেন, আমরা ৩ বোন বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘটনার দিন হামিদ মিয়া ও তার লোকজন বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে বাড়ি- ঘরে হামলা, ভাংচূড় ও লুটপাট করে। এ সময় হামিদ মিয়া সহ তার লোকজন আমাদেরকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে পিটিয়ে ও কামড়িয়ে গুরুতর আহত করে এবং মান ইজ্জত নষ্ট করার জন্য আমাকে বিবস্ত্র করে শ্রীলতাহানি ঘটায়। আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
এ ঘটনায় রাজিব মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার দিন বিকেলে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পরদিন ২৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আহত নারীদের আত্মীয় স্বজন হামিদ মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচূড় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা হামিদ মিয়ার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও তার মেয়ের পরীক্ষার সার্টিফিকেট সহ জমির দলিল পত্র লুট করে নিয়েছে বলে প্রতিপক্ষ হামিদ মিয়া জানান।