ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারে রাজনৈতিক নেতাদের আপ্যায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খাবারের তালিকায় ছিল ঐতিহ্যের নানা খাবার।
জানা গেছে, খাবারের তালিকায় স্থান পায় বিভিন্ন মৌসুমী ফল, ফলের জুস, চা-কফি ইত্যাদি। আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য দিয়ে খবার টেবিল সাজানোর পাশাপাশি বাজানো হয় দেশের গান। অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, পাঠিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল সেই দল ও জোটের নেতাদের সম্মানে চা-চক্রের আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে এ চা চক্র অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা। তাদের উপস্থিতিতে যেন রাজনৈতিক নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ চা-চক্র।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণভবনের অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন টেবিল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে সহাস্যে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা জানান তিনি।
চা-চক্রে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমুর হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরুও নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বিরোধী দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাপা নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ যোগ দেন চা-চক্রে।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এমএ মান্নান, মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মুবীন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।