স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচ খেলতে সোমবার ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ফুটবল দলের। বিশেষ বিমানে করে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকা পদার্পণ করবে সকারুসরা। পরদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।
ইনজুরির কারণে বাংলাদেশগামী স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েছেন টম রজিক ও টমি জুরিক। বাংলাদেশে আসার আগে তারা সঙ্গী করে নিয়ে আসছে ক্যানভেরায় বি-গ্রুপের আরেক ম্যাচে স্বাগতিক কাজিকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের অনুপ্রেরণা।
সন্ত্রাসী হামলার আতংককে সঙ্গী করেই মূলত ঢাকা সফরে আসছে এশীয় ফুটবলের এই পরাশক্তি। এর আগে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট দল। তাদের এমন সিদ্ধান্ত হতাশ করেছিল দেশের ১৬ কোটি ক্রিকেট অনুরাগীকে। অসিদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দুই দুইবার পূর্ব নির্ধারিত সিরিজ স্থগিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলও।
ক্রিকেট দলের ভিত্তিহীন শংকার কারণে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ফুটবল দলের ঢাকা সফর নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অস্ট্রেলিয় ফুটবল ফেডারেশনের তৎপরতা এ আশংকাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। তারা বাংলাদেশের ভেন্যু বাতিল করার আবেদন করেছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও এশিয়ান ফুটবলের অভিভাবক এএফসির কাছে । কিন্তু তাতে কোন সাড়া পায়নি অস্ট্রেলিয়ানরা। ফিফা স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছিল ঢাকায় ম্যাচ খেলতে। পরে আগে নিরাপত্তা কর্মকর্তা পাঠিয়ে সকারুসদের জোড়ালো নিরাপত্তার আশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইনজুরির কবলে পড়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ একটি জয় প্রত্যাশা করছে সকারুসরা। কারণ, এর আগে পার্থে অনুষ্ঠিত প্রথম লিগে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়লাভ করেছিল। ক্যানভেরায়ও সপ্রতিভ পারফর্মেন্স দিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
অপরদিকে বাছাইপর্বে এখনো বি-গ্রুপের তলানীতেই পড়ে আছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ তাজিকিস্তান সফরে গিয়ে বৈরি আবহাওয়ার মুখে পড়া বাংলাদেশ স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে ৫-০ গোলে। গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইতালীয় নাগরিক ফ্যাবিও লোপেজ। তবে এখনো পর্যন্ত কোন সফলতা বইয়ে আনতে পারেননি তিনি। তার অধীনে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে লাল সবুজ জার্সিধারীরা। বাছাইপর্বের ছয় ম্যাচে অংশ নেয়া বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দুটি গোল আদায়ের বিপরীতে হজম করেছে ২০টি।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দু’দিন ধরে স্টেডিয়ামের মার্কেট বন্ধ করে দিয়ে সেখানকার নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে ডক স্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এ যাবৎকালের যে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচের চেয়ে বেশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই ম্যাচটি ঘিরে। এমন তথ্যই দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।