কিশোরগঞ্জ, ১৫ নভেম্বর : কিশোরগঞ্জে আলোচিত সার আত্মসাতের মামলায় বিএডিসির সাবেক এক কর্মকর্তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
কিশোরগঞ্জ জেলায় বিএডিসি (সার) কার্যালয়ের সাবেক যুগ্ম-পরিচালক মো: আহাদ আলী দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রোববার বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে বিএডিসির ভৈরব গোডাউন থেকে ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা মুল্যের সার উত্তোলন ও তা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটায়।এ ঘটনায় বিএডিসি (সার) কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের যুগ্ম-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে বিএডিসির চার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তিন সার ব্যবসায়ীসহ মোট সাতজনকে আসামী করে ভৈরব থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও প্রচলিত দন্ড বিধি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর পুলিশ মামলার প্রধান আসামী বিএডিসি (সার) ভৈরব কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম ও গুদামরক্ষক মো: খোরশেদ আলমকে আটক করার পর থেকে জেল-হাজতে আছে। পরে মামলার অপর আসামী গোডাউনের শ্রমিক সরদার রতন মিয়া বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে না মঞ্জুর করে তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে মামলার বাকি আসামী তিন সার ব্যবসায়ী হারিছুল হক, লিটন রায় সারোয়ারুল আলম শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাল কমল চন্দ্র চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর সাত আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু আসামী পক্ষে জামিন শুনানী করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জামিনের বিরোধীতা করেন।
শুনানী শেষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমকে জানান, খুব তাড়াতাড়িই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হবে।
রুমন চক্রবর্তী (স্টাফ রিপোরটার)/১৬-১১-২০১৫ইং