মালয়েশিয়ায় পুলিশের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, নিহতরা অপহরণকারী ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ।
মালয়েশিয়ার জাতীয় দৈনিক স্টার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, দেশটির তামান মুডুন, বাতু ৯ চেরাস এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত এক বাংলাদেশিকে উদ্ধারের সময় পুলিশের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন বাংলাদেশি মারা যান। পুলিশের দাবি, তারা অপহরণকারী ছিলেন।
কাজাং ওসিপিডির সহকারী কমিশনার আহমেদ জাফির ইউসুফ বলেন, ‘কুয়ালালামপুরের পুলিশ একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে ধরার জন্যে ওঁৎ পেতে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে চেরাসের বাতু ৯ এবং তামান মুদুনের একটি ছোট স্থানে অবস্থান করছিলেন তারা। রাত ১টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ বাড়িটিতে অভিযান চালায়। সেখানে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। অভিযান চলাকালীন সময়ে বাড়িটি থেকে অপহরণকারীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ।’
জাফির ইউসুফ বলেন, ‘আমরা সফলভাবে অপহরণে আটক ব্যক্তিকে মুক্ত করি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সেন্তুল থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ৯এমএম পিস্তল এবং একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ডকুমেন্টও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।’ ৩০৭ ধারায় পেনাল কোর্টে এই মামলাটির তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ বলছে, নিহত ২ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের অপহরণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল। মুক্তিপণের দাবিতে এ পর্যন্ত তারা ২.৫ মিলিয়ন মালয় রিঙ্গিত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
পুলিশের অভিযানের সময় ওই বাড়ি থেকে অপহৃত এক বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত বাংলাদেশির বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর। তবে পুলিশ নিহত এবং উদ্ধারকৃত বাংলাদেশির নাম এখনও প্রকাশ করেনি। পুলিশ বলছে, নিহত ২ বাংলাদেশির কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না।