ফেব্রুয়ারি মাসেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা। এই নিয়ে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাতেও নবীন ও প্রবীণ সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন নিজেদের প্রচার প্রচারণা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও গুরুত্বপ‚র্ণ স্থান পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে দেয়াল।
আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গণ। সর্বত্রই চলছে আলোচনা, বইছে নির্বাচনী হাওয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আবার সর্বত্রই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী উপজেলা নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী? চলছে রাজনৈতিক মহলে নানা হিসাব নিকাশ।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন।
রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচনের দাদা মহিউদ্দিন আহাম্মেদ ছিলেন ৫২’র ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক।কিশোরগঞ্জ আওয়ামীলীগ এর দীর্ঘ ১৯ বছর সাধারণ সম্পাদক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন তিনি।
রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচনের বাবা শামসুদ্দিন আহাম্মেদ এবং মেঝো কাকা রফিকউদ্দিন আহাম্মেদ মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন সময়ে মে মাসের মাঝামাঝিতে আলবদরদের হাতে আটক হয়, দুইদিন আটক থাকার পর জীবনবাজী রেখে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়, গেরিলাযুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিসংগ্রামে দীর্ঘ নয় মাস কালীগঞ্জ রেল ব্রিজ, তারেঘাট ব্রিজ, গচিহাটা রেলষ্টেশন সংলগ্ন সম্মুখ যুদ্ধ সহ অসংখ্য যুদ্ধে জীবনবাজী রেখে সাহসিকতার সাথে অংশ নেন।
রিফাত উদ্দিন আহমেদ ববচনের সেজো কাকা শরিফ উদ্দিন আহাম্মেদ ঢাকা তেজগাঁও পলিটেকনিক ছাত্র সংসদ এর জি,এস ছিলেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন।এবং ছোট ফুপি “কামরুন্নাহার আহাম্মেদ খুকী” কিশোরগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদ এর জি,এস ছিলেন।
রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচনের বড় ভাই সাকাউদ্দিন আহাম্মেদ রাজন গুরুদয়াল সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ এর জি,এস ছিলেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মেঝো ভাই সুজাউদ্দিন আহাম্মেদ কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি ছিলেন। বড় বোন ফৌজিয়া আহাম্মেদ কিশোরগঞ্জ যুব মহিলা লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদিকা ছিলেন।
পারিবারিক এবং রাজনৈতিক সূত্র বলছে, রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ছাত্রনেতা। মানুষের সেবা করাকেই তিনি মহান ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন উপজেলা গঠনে সচেষ্ট হবেন।
রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন বলেন, আমি এবং আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নেতা কর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তৃণম‚ল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে আমি দলের সমর্থন চাইবো। আমার একটাই লক্ষ্য, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উন্নয়নে অবদান রাখা। আলোকিত একটা উপজেলা গঠনে আমিও কাজ করতে চাই।
তিনি আরও আরো বলেন, কেবল নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়, দীর্ঘদিন থেকে আমি এবং আমার পরিবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছি। কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, কেবল ব্যক্তিগতভাবে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বড় পরিসরে তাদের উন্নয়ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে তিনি সকল মহলের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেছেন।