কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় সব দিক থেকে পাকিস্তানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে ভারত। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবার পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করতে চিঠি দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসিকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গিরা কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের গাড়ি বহরে আত্মঘাতী হামলা চালালে তাতে নিহত হয় বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য। এমন ঘটনার পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের ওপর বিভিন্নভাবে বিধিনিষেধ আরোপের পথে হাঁটছে। সবশেষ পাকিস্তান সুপার লিগ থেকে তাদের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টিং পার্টনারশিপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করতে চিঠির বিষয়ে শুক্রবার সভায় বসার কথা ভারতের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের। সেই সভার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরও আলোচনা হওয়ার কথা এই ইস্যু নিয়ে।
ক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, পত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে পাকিস্তানকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করা হোক বিশ্বকাপে। যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রায় এবং প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি। তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, তারা এখনও বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি পাননি। তবে আইসিসি চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবে। সোমবার আইসিসির সভা হবে দুবাইয়ে। সেখানেও অবশ্য এমন এজেন্ডা নেই। তবে আইসিসির সভায় বিষয়টি উত্থাপনের কথা ভাবছে বিসিসিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবলেও আইসিসির গঠনতন্ত্রে এমন কোনও অনুচ্ছেদ নেই যাতে কোনও দেশকে নিষিদ্ধ করা যায়। একই সঙ্গে ভারত যদি পাকিস্তানের সঙ্গে লিগ পর্বে খেলতে অস্বীকৃতিও জানায় তাহলে ভারতের দেখানো কারণেরও যাচাই বাছাই করবে আইসিসি। ফলে ভারতকে এমন কিছু করতে হলে তাদের অভিযোগকে পোক্ত করেই উপস্থাপন করতে হবে!
১৯৯৬ বিশ্বকাপে নিরাপত্তাজনিত কারণে শ্রীলঙ্কায় খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া। কারণ শ্রীলঙ্কান তামিল টাইগারদের ভয়ঙ্কর বোমা হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে সেই সময়। সেবার দুটি ম্যাচ না খেলেই পয়েন্ট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় শ্রীলঙ্কা।