স্পোর্টস ডেস্কঃ ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ফিরতি ম্যাচে বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মানুষের ঢল নেমেছে।
এত বেশি লোক সমাগম হয়েছে যে, স্টেডিয়ামের ভেতরে অনেকে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেকটি গেটে দীর্ঘ লাইনে দর্শকরা স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বাইরের গেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, মূল গেট দিয়ে ফুটবল প্রেমিরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এক একটি লাইন অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেছে। লাইনে দাঁড়ানো অনেকে হতাশ হয়ে বলেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মনে হয় খেলা আর দেখা হবে না।
স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের গেটে গিয়ে দেখা যায়, মূল গেট থেকে লাইন শুরু হয়ে গিয়ে পৌঁছেছে দৈনিক বাংলা মোড়ে। সেই লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
পশ্চিম পাশের গেটে গিয়ে লাইন আরো দীর্ঘ দেখা যায়। ওই গেটে দুটি লাইন। একটি বায়তুল মোকাররমের পাশ দিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেছে। অন্যটি, মাওলানা ভাষানী স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চের দিকে গেছে।
বায়তুল মোকাররমের পূর্বপাশের গেট দিয়েও অনেক দর্শক প্রবেশ করছে। তবে এ গেট দিয়ে খেলোয়াড়রা প্রবেশ করবেন, বিধায় লাইনে দর্শকদের দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ।
খেলা দেখতে আসা ফুটবল প্রেমিরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন যে, যেকোনো উপায়ে যেন তারা খেলা দেখতে পারেন। এ জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে দ্রুত স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানো হয়।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পারভিন জানান, ৩০০ টাকার টিকিট সাড়ে ৩০০টাকা দিয়ে কিনলাম। তবুও মনে হয়, খেলা দেখতে পারব না। সিট না-ই পেলাম, দাঁড়িয়ে থাকতে পারব। তবে স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারব কি না- সেটাই এখন মুখ্য বিষয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দেহ তল্লাশি করে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এ জন্য ধীর গতিতে লোকজন প্রবেশ করছে। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিরাপত্তার স্বার্থে স্টেডিয়াম এলাকার চারদিকে রায়টকার, এপিসি কারসহ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট পূর্বে স্টেডিয়ামের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। নিরাপত্তার অজুহাতে দলটি আসেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের আশ্বস্ত করে, অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।