muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে ২ সহস্রাধিক পর্যটক আটকা

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দুই সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

সোমবার সকালে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ ছাড়েনি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়িসহ মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকালে টেকনাফে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতসহ মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়। এতে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি, পানের বরজ ও লবণ মাঠসহ ফসল ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এর ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। যে কারণে সেন্টমার্টিনে অবস্থানকারী অন্তত দুই সহস্রাধিক পর্যটক আটকা রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চলতি পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রতিদিন চারটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে। এ সব জাহাজে প্রতিদিন পাঁচ সহস্রাধিকের বেশি পর্যটক যাতায়ত করেন। এদের মধ্যে অনেকে রাত্রিযাপনের জন্য সেন্টমার্টিন অবস্থান করেন।’

আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রবিউল হাসান।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা ছোট-বড় ৮৪টি হোটেল রয়েছে। এ সব হোটেলে অন্তত দুই সহস্রাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ না ছাড়ায় এ সব পর্যটক আটকা পড়েছেন। জাহাজ চলাচল শুরু হলেই তারা টেকনাফ ফিরতে পারবেন।’

আটকা পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ।

মৌসুমী বায়ুর কারণে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের কারণে সোমবার সকালে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর, কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ঋতু পরিবর্তনের পূর্ববতী সময়ে সচরাচর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এতে অনেক সময় বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে।

আবহাওয়াবিদ শহীদুল্লাহ আরো জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবারও গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মাছ ধরার ট্রলারসহ সাগর ও নদীতে নৌযানগুলোর চলাচলে কোনো ধরনের সতর্কতা দেখাতে বলা হয়নি বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।

Tags: