মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আর জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার রাত ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান।
প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রথমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী-সন্তানসহ ১৮ জন সদস্য কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
আর মুজাহিদের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা বের হয়ে আসলে তারা কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করবেন।
মূলত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করার আগে শেষবারের মতো সাক্ষাতের জন্য পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠিয়ে থাকে কারা কর্তৃপক্ষ।
এরআগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি) কর্নেল ফজলুল কবীর। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছেন ডিআইজি গোলাম হায়দার।
এছাড়া সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
মূলত রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ ও জল্লাদ।
ইতিমধ্যে প্রাণভিক্ষার আবেদনের আইনি বিষয়ে মতামত দিয়ে তা বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।