প্রিয় বন্ধুরা, দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম প্রত্যাশা পূরণে আমরা কথার মাধ্যমে একে অপরে নানা রকম জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন করে থাকি। এগুলো মূলত কে, কি/কী, কেন, কত, কেমন, কোন, কোথায়, কখন, কিভাবে ইত্যাদি প্রশ্নসূচক শব্দ দ্বারা করে থাকি। তবে বানান ও উচ্চারণের দিক থেকে ‘কি’ বা ‘কী’ শব্দ ব্যতিত অন্য সব প্রশ্নসূচক শব্দগুলোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য থাকলেও ‘কি’ বা ‘কী’ বানানে ও উচ্চারণে কাছাকাছি। তাই ‘কি’ ও ‘কী’ দ্বারা প্রশ্নবোধক বাক্য লিখার ক্ষেত্রে আমরা অনেকে ভুল করে ফেলি।
এবার আমরা ‘কি’ ও ‘কী’ এর সঠিক ব্যবহার জেনে নেবঃ
‘কি’ হচ্ছে প্রশ্নসূচক অব্যয়। কোনো কিছু জানতে চাওয়া বা প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ # তুমি কি পড়ো ? # আমি কি খাব ?
এখানে বাক্য দুটির উদ্দেশ্য প্রশ্ন করা। উত্তরের কোনো নির্দিষ্টতা কিংবা ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি।
অতএব কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে সম্পন্ন করা হয়, তবে সে প্রশ্ন করার সময় ‘কি’ ( হ্রস্ব-ই-কার ) বসবে।
অন্যদিকে,
প্রশ্নঃ # তুমি কী পড়ো ? # আমি কী খাব ?
এখানে বাক্য দুটিতে নির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়েছে – তুমি কী পড়ো ? বই না পত্রিকা, আমি কী খাব ? অর্থাৎ ভাত, রুটি না অন্যকিছু। একইভাবে কীভাবে ঘটল ? অর্থাৎ কোন উপায়ে। এখানে ‘কী’ হচ্ছে প্রশ্নসূচক সর্বনাম। সে প্রশ্নের উত্তর ব্যাখ্যা করে দিতে হয়, ‘হ্যাঁ’ ‘না’ এভাবে দেওয়া যায় না।
অতএব যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্ট ও বিবৃতি বা ব্যাখ্যামূলক হয়, তবে সে প্রশ্ন করার সময়ে ‘কী’ ( দীর্ঘ-ঈ-কার ) যুক্ত হবে।
এই দীর্ঘ-ঈ-কারযুক্ত ‘কী’- এর আরও একটি ব্যবহার হচ্ছে, বিস্ময়বোধক অব্যয় রূপে।
যেমনঃ # বাহ্ কী সুন্দর ফুল! # কী আশ্চর্য!