আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতকে নিয়ে বাজী ধরেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ গর্ডন গ্রিনিজ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ভালো খেললে অনেক অঘটন ঘটাতে পারে।
গর্ডনের সময়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে সবথেকে বড় অঘটনটা ঘটিয়েছিল। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। ওয়াসিম, ওয়াকার, ইনজামাম, শোয়েব আক্তারদের দলকে হারিয়ে দিয়েছিল সুজন, আকরাম, দূর্জয়, নান্নুরা। বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে পথচলা শুরু। এরপর ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের সব দলকেই ওয়ানডেতে হারিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে হারানো ছিল অনেক বড় অর্জন।
দুই দশক পর আবার ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ এবার কেমন করবে? জানতে চাওয়া হয়েছিল গর্ডন গ্রিনিজের কাছে, যিনি বাংলাদেশে এসেছেন ‘বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন’ উদ্বোধন করতে। ক্রিকেটের মানুষ গর্ডন। গলফ উদ্বোধন করতে এসে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবেন না তা কি হয়?
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো করছে। বিশ^কাপ ইংল্যান্ডের মাটিতে। কোনো দলকেই আসলে সেরা দল বলা যাচ্ছে না এ মুহূর্তে। আমি বলতে কিছুটা সংকোচবোধ করছি; তারপরও বলছি বিশ^কাপে আমার ফেভারিট দল হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশে ভালো ক্রিকেটে খেললে অনেক অঘটনের ঘটাতে পারে।’
মাঠের পারফরম্যান্সে গর্ডন বাংলাদেশকে তুলনা করেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে, ‘বাংলাদেশ দল অনেকটা পাকিস্তানের মতো; একদিন বেশি ভালো খেলে তো, আরেকদিন খারাপ। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলতে পারলে ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুবই জরুরি, তবেই ভালো ফল আসে।’
মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে বিশ্বাস গর্ডনের। তবে মাঠের বাইরে দর্শকের চাপ সামলে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ।
‘দেখুন বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে ভালো খেলছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার বড়ই অভাব। লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। তাই প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি পয়েন্ট বড় ব্যবধান তৈরি করবে। একটা ম্যাচের জয়-পরাজয়ে দর্শক অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। দর্শক চাপটা অনেক বেশি জরুরি। বাংলাদেশের ম্যাচেও দারুণ দর্শক হবে। সেই চাপ তাদের সামলে নিতে হবে।’ – যোগ করেন গর্ডন।