মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সরকারের সাথে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, চীন পৃথিবীর সুপার পাওয়ার ও আমাদের নিকট প্রতিবেশী একটি বৃহৎ রাষ্ট্র। চীনের কুনমিং প্রদেশ থেকে আমাদের দেশের দুরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।
সৈয়দ আশরাফ আজ দপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা কনফারেন্স মিলনায়তনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার এবং বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফেন জিয়াংয়ের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে ব্রিফিং কালে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক অনেক পুরানো। কেননা ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীন সফরে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সকল পর্যায়ে চীনের সরকার এবং দলের সাথে এ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে।
দেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে চীনের সমর্থন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে চীনের সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে।
শেন ফেন জিয়াং বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং আওয়ামী লীগের সাথে পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। দলদুটি মাঝে মাঝেই প্রতিনিধি বিনিময় করে থাকে।
তিনি সরকারে আতিথিয়তা এবং আওয়ামী লীগের আতিথিয়েতার ব্যাপক প্রশংসা করেন।
চীনা প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগ (আইপিডিসি)’র মহাপরিচালক ইউয়ান জিবিন, পরিচালক ইউয়ান রিডং, শেন ফেন জিয়াংয়ের সচিব লিয়ো ইয়ংজিয়ে, আইপিডিসির সহকারী সচিব তান ওয়ে এবং আইপিডিসির পলিটিক্যাল অফিসার মিস হিহি।