মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যে কোনো ধরনের লোভ-লালসার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি যাতে কলুষিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররা অসামান্য অবদান রেখেছে। এ কারণে জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে এখনও তাদের অবদানের কথা স্মরণ করে। আমরা আশা করি জাতি গঠনে তারা তাদের অবদান অব্যাহত রাখবে।’
রাষ্ট্রপতি আজ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ বলেন, ছাত্র রাজনীতির লক্ষ্য হচ্ছে দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, ছাত্র রাজনীতি যাতে কলুষিত না করার চেষ্টা হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের তথ্য প্রযুক্তির বৈপ্লবিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কারণে বিশ্ব দ্রুত বদলাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শান্তি বজায় রেখে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতি গঠনে একটি উজ্জ্বল স্থান এবং এখানে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘আমি বিশ্বাস করি আপনারা (শিক্ষকরা) দেশের জন্য সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে আপনাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রয়োগ অব্যাহত রাখবেন।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে প্রত্যেককে দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতামূলক মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের জনগণের টাকায় পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে। কাজেই সকলের দায়িত্ব শিক্ষার পরিবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবদুস সাত্তার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী সমাবর্তন ভাষণ দেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৬৪০ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৫ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।