কিশোরগঞ্জের নিজ গ্রামে ফায়ারম্যান সোহেল রানা শোক শ্রদ্ধায় সমাহিত হয়েছেন। ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের কেরুয়ালা গ্রামে মঙ্গলবার ৫:৪৫ মিনিটে চৌগাংগা ফাজিল মাদরাসা মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), ফায়ার সার্ভিসের ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ দুলাল মিয়া, ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর্শেদ জামান, মরহুমের আত্মীয়-স্বজনসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পূর্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস দল গার্ড অফ অর্নার প্রদান করেন। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে সোহেল রানার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সকালে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে সম্মান জানানো হয়। বিউগলের সুর বাজিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পতাকায় মোড়ানো সোহেল রানার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফায়ার সার্ভিসের চৌকস দল।
গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে আটকা পড়াদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। তারপর থেকে সিএমএইচে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সোহেল রানাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা আর দেশবাসীর অফুরান প্রার্থনাকে ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিটে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।