কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ।
উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বীর মু্ক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ডিপুটি কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইনান্স মোঃ আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৫/২০ বছর পূর্বে ফরিদপুর গ্রামে তার ক্রয়কৃত একটি জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। একই গ্রামের মৃত শহিদ মিয়ার পুত্র ফজলুর রহমান (৫৫) দীর্ঘ দিন যাবত তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে ওই জায়গা ফজলুর রহমানের নিকট বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। এতে রাজী না হওয়ায় ফজলুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ এপ্রিল সোমবার কাকডাকা ভোরে লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্রীদি নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করে তাদের বাড়ি থেকে জোড়পূর্বক বেড় করে দিয়ে তাদের বসতঘরসহ টয়লেট ও পাকঘর ভাংচুর করে। এ সময় হামলা কারীরা ঘরে থাকা আসবাবপত্র সহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে তারা কুপিয়ে সাবাড় করে দেয় তার কলার বাগান, আমের চারাসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ পাছপালা। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সৈয়দা নাসিমা আক্তার আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বাদী হয়ে ফজলুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৩০/৩৫ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই তালুকদার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে কাউসার (৩৫) ও জজ মিয়া (৩২) নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত ও হতবাক হয়ে পড়েন উপজেলা মু্ক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান সহ সালুয়া, ছয়সূতী, গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর, উছমানপুর ও ফরিদপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারবৃন্দ সহ বহু মুক্তিযোদ্ধাগণ। তাঁরা বলেন, এই নৃশংসতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাবৃন্দ কান্নাজড়িত কন্ঠে এই বর্বর ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।