‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে সাহিত্যের অনেক ধারা তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে যদিও তিনি খুব বড় মাপের সাহিত্যিক ছিলেন না। তবে সাহিত্যে প্রতি উনার আলাদা টান ছিল। বঙ্গবন্ধুকে জেলখানায় বসে অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখতে অনুপ্রাণিত করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে দিনব্যাপী সেমিনারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরিফা সালোয়া ডিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্বে ছিলেন নিরিখ সম্পাদক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী।
সেমিনারে আব্দুল মান্নান আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বইয়ে কোন রকম রং মাখানোর চেষ্টা করেননি।২৩ বছর পাকিস্তানের মুখোমুখি অবস্থানে রাজনীতি করেও তিনি তাদের কথা বইয়ে উল্লেখ করেছেন। রাজনৈতিক সম্পর্কের বর্ণনা করে; মানবতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিরিখের নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল্লাহ খান, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পুরনজিত মহালদার, সহকারী অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন নাহার প্রমুখ।