মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পাকিস্তানের নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের দুই রাজনীতিবিদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে উদ্বেগ জানাতেই বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শেখ আফতাব আহমদ জানান, দেশটির সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের দুই রাজনীতিবিদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে। ‘ভ্রান্ত যুদ্ধাপরাধের বিচারের’ এ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সংসদ সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ১২টা ৫৫ মিনিটে সালাউদ্দিন কাদের এবং মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। পরে তাদের ওই বিবৃতির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। এবং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
দেশটিতে থাকা জামায়াতের সংসদ সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে আফতাব আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাক্ষরিত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ছিল না। ওই সময় যুদ্ধ হয়েছিল পকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে। সে সময় যারা পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল তাদের বিচার করা অযৌক্তিক। সংসদে বক্তৃতায় পিটিআই-এর সংসদ সদস্য শিরিন মাজারি প্রতিবাদ স্বরূপ ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার প্রত্যাহার করার জন্য পাকিস্তানি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।