জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৯ পালন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা পর্যায়ের কৃষকদের নিয়ে খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি বিষয়ক কাউন্সিলিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, ‘খাদ্যের কথা ভাবলে,পুষ্টির কথাও ভাবুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একযোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। এরই ধারাবাহিতায় তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ’র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার ২৪ এপ্রিল জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে সকাল ১১ টায় উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত কৃষকদের নিয়ে খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি বিষয়ক কাউন্সিলিং সেশন এবং উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা.সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুর রউফ তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তারেক বিন মতিন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,নার্সেস সুপারভাইজার বিলকিস বেগম, তাড়াইল সরকারি মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক এম.এম রুহুল আমিন,মুকুট দাস মধু প্রমূখ।
প্রধান অতিথি উপজেলা কৃষি ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মমকর্তা তারেক বিন মতিন উপস্থিত কৃষকদের উদ্দ্যেশে বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্যের সুষমায়নের মাধ্যমে পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করা সম্ভব। দেশের সকল মানুষের জন্যপুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে বহুমুখীশস্য উৎপাদন প্রয়াস, উন্নত ও আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন, বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রীড জাত প্রতিস্থাপন জরুরী বলে সকলকে অবহিত করেন।