একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম থাকলে সেটি বন্ধ হচ্ছে আজ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) নির্ধারিত নিয়মে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে সিমগুলো। তবে করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী, বাড়তি এসব সিম বন্ধ করবে দেশে থাকা মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। তারা মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯২টি মোবাইলফোন সিম বন্ধ করবে।
এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম রয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার, বাংলালিংকের ৪ লাখ ৫৫ হাজার, রবির ৪ লাখ ১৯ হাজার, টেলিটকের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯২ ও এয়ারটেলের ২ লাখ ২৫ হাজার সিম।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘নিরাপদে মোবাইলফোন সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরো গ্রাহকবান্ধব হবে এবং এ খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।’
বিটিআরসি সর্বশেষ ব্যক্তি পর্যায়ে সিমের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন গ্রাহকের প্রি-পেইড, পোস্ট পেইড মোবাইলফোন অপারেটর নির্বিশেষে সিম/রিমের সর্বমোট সংখ্যা ১৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে ওই সীমার বাইরে কোনো গ্রাহক (করপোরেট গ্রাহক ব্যতিত) সিম/রিম নিবন্ধন করতে পারবেন না।
তবে গ্রাহকের সুবিধার্থে কোন সিমগুলো চালু রাখা হবে তার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি। এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব গ্রাহক ওই সীমা (১৫টির বেশি) অতিক্রম করেছেন সেসব গ্রাহককে আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইলফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে নিজে হাজির হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতিরিক্ত সিম/রিম নিষ্ক্রিয় করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
‘ওই সময়সীমার পর সব গ্রাহকের সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত সিম/রিম কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হওয়ার আগেই সিমের সংখ্যা নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি।