কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নতুন প্রজন্মকে বাংলা প্রমিত উচ্চারণ এবং আবৃত্তিশিল্পে উৎসাহিত এবং দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দিনব্যাপী বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভৈরব উদয়ন স্কুল এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় উদয়ন স্কুলসহ স্থানীয় ৮টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ৫২জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। আজ বুধবার সকালে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক নাট্যকার-অভিনেতা সাগর রহমান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে উচ্চারণ ও আবৃত্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সাগর রহমান, বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী নূর-ই-লায়লা রিক্তা ও ফারহানা বেগম লিপি। এ ছাড়াও অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে আবৃত্তি শিল্পী, সংগঠক ও এনটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজ আমিন আবৃত্তিশিল্পের তাল, ছন্দ, প্রকাশ এবং কবিতার মাত্রা-ভাব ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন।
বিকালে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী পর্বে নাট্যাভিনেতা মানিক চৌধুরীর স ালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদয়ন স্কুলের পরিচালক এম.মতিউর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ভৈরবে যারা সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী এবং আবৃত্তিকে সামনে নিয়ে আসতে চায়, তাদের পরিচর্যা এবং উচ্চারণে নিভর্‚লতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আবৃত্তি চর্চার আগ্রহ বৃদ্ধিই আমাদের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশুসংগঠক ও ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ সৌরভ ও সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন। অতিথিবৃন্দ তাদের আলোচনায় এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য ভৈরব উদয়ন স্কুল কর্তৃপক্ষসহ আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন, এমন আয়োজন নিয়মিতভাবে হলে ভৈরবের আবৃত্তিশিল্প হারানো গৌরব ফিরে পাবে। তারা ৯০ এর দশকে এখানে গড়ে ওঠা আবৃত্তি চর্চার সংগঠন ভৈরব আবৃত্তি পরিষদ ও স্পর্শ আবৃত্তি পরিষদের কার্যক্রম আবারও শুরু করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখার আহবান জানান।
পাশাপাশি ৮০ দশকের মতো জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাট, কঁচি কাচার মেলা, খেলাঘর আসর, ভৈরব থিয়েটার, ভৈরব লিটল থিয়েটার ইত্যাদি নিস্তেজ হওয়া শিশু সংগঠনগুলিকে আবারও চাঙ্গা করার উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।