কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।
পাকুন্দিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস, মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রব্বানী ও ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুর্শেদ জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭), বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২২) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।
পুলিশ জানায়, পাকুন্দিয়ায় আসাদ বাড়ির সামনের জমিতে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টিপাত শুরু হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে তিনি নিহত হন। একই উপজেলায় নুরুন্নাহার চাল ছাঁটাই করে ফেরার পথে গাছতলায় দাঁড়ালে বজ্রপাত হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মুজিবুর রহমান বাড়ির সামনে জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে মিঠামইন উপজেলায় সুমন হাওর থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যায়। একই উপজেলার মহিউদ্দিন খলায় ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন মহিউদ্দিনকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাকাইজেও এলাকায় মারা যান।
অন্যদিকে ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের হাওর থেকে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।