বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে করা মনিকার চাকমার গোলটি এখনো লেগে আছে দর্শকের চোখে।
মাঝমাঠ থেকে সানজিদার ক্রস, মনিকা হেডে বল নামান মাটিতে মনিকা। তারপর মঙ্গোলিয়ার সারাংগারাথকে পরাস্ত করে বল নেন নিয়ন্ত্রণে। মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে তার বা পায়ের জাদুকরী ভলি বাঁক খেয়ে চলে যায় জালে। মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক সেনজাব আরডেনবিলেগের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে করা গোলটি কেবল বাংলাদেশের মানুষের চোখেই লেগে নেই, ফিফার ফ্যানস ফেবারিট গোলের তালিকায় ঢুকে গেছে এটি। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা তাদের ওয়েবসাটে গোলটির ভিডিও আপলোড করে শিরোনাম দিয়েছে ‘ম্যাজিক্যাল চাকমা।’
ফিফা প্রতি সপ্তাহে এভাবে তাদের দর্শক জরিপের মাধ্যমে কয়েকটি বিভাগে বেছে নেন সেরা ফুটবলারদের। সপ্তাহের সেরা গোলদাতাদের তালিকায় ঢুকে গেছেন বাংলাদেশের এ মিডফিল্ডার।
সেমিফাইনালে মনিকার গোলেই প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে তহুরা ও মারজিয়া গোল করলে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে ফাইনালে ওঠে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
ফিফা ফ্যানস ফেবারিট গোলদাতার তালিকায় মনিকা জায়গা করে নেয়ায় বেজায় খুশি বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘আমরা যখন ফিনিশিং নিয়ে সমালোচনা করছিলাম তখন এমন একটা গোল করেছে মনিকা। এটা অসাধারণ, যা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় অর্জন। মনিকা এর আগেও এমন অনেক গোল করেছে। এটা গর্ব করার মতো। ওর বয়স এখন ১৬ বছর। ভবিষ্যতে সে আরো গোল করবে। এখন ভালোভাবে মনিকার যত্ন নিতে হবে। কেবল বাংলাদেশেই নয়, আমি মনে করি বিশ্বব্যাপী গোলটি সাড়া জাগাবে।’